
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির বন্ধু তিমুর মিনদিচের বিরুদ্ধে ১০০ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে তিমুর জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করতেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দেশটির জাতীয় দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এনএবিইউ) জানিয়েছে, বিশাল এই দুর্নীতি প্রকাশের আগেই দেশ থেকে পালিয়েছেন তিমুর।
ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ জানিয়েছে, ইউক্রেন ইতোমধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে রাশিয়ার আক্রমণে ইউরোপের দেশটি যখন পর্যদুস্ত তখনই সামনে আসল এই দুর্নীতি। যা নিয়ে পশ্চিমাদের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্ট প্রতিবেদনে বলছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে এই ঘটনার প্রধান আসামী তিমুরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা একসময় একই প্রোডাকশন হাউসে কাজ করতেন। জেলেনস্কির ‘ক্ভারতাল ৯৫’ নামের মিডিয়া প্রোডাকশন কোম্পানির শেয়ারও ছিল তিমুরের। জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি ও অপরাধ করতেন তিমুর।
ইউক্রেনের তদন্তকারীরা মোট ১০০ মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জ্বালানি খাত থেকে ব্যাপক অর্থ আত্মসাতের একটি বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা। আর এটি এমন সময়ে সামনে এসেছে যখন রাশিয়া দেশটির জ্বালানি খাত ধ্বস করতে চাচ্ছে।
ইউক্রেনের বিশেষ দুর্নীতি দমন প্রসিকিউটরস অফিসের এক প্রসিকিউটর জানান, ‘মিনদিচ ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের সঞ্চয়, বণ্টন ও বৈধকরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাতেন।